কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি কি ?
গোঁফে তেল দিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ। গ্রীষ্মের ফল কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। সুমিষ্ট এই ফলটি পুষ্টিগুণে ঠাসা। এক কাপ কাঁঠালে মেলে ১৫৭ ক্যালোরি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ গ্রাম ফ্যাট, ৩ গ্রাম ফাইবার তার সাথে ৩ গ্রাম প্রোটিন।
কাঁঠালে কি কি ভিটামিন আছে ?
এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজেরও উৎস কাঁঠাল। কাঁঠালের মৌসুমে রেগুলার ফলটি খেলে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত উপকার।
আরও জানুনঃ কাঠাল খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঠালে কি কি ভিটামিন আছে ? কাঠাল বিচির উপকারিতা কি কি ?
- পর্যাপ্ত হিসাবে ভিটামিন এ রয়েছে কাঁঠালেএই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি চমৎকার রাখে।
- ফাইবারের চমৎকার একটি সোর্স কাঁঠাল। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে সরে থাকা সম্ভব হয় নিয়মিত কাঁঠাল খেল
- আলসারের প্রবলেম প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে সহযোগিতা করে কাঁঠালে থাকা এক ধরনের মঙ্গলময় উপাদান।
- বেশ অল্পসংখ্যক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সোর্স কাঁঠাল। এসব উপকরণ হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে হেল্প করে
- কাঁঠালে থাকা পটাসিয়াম শীর্ষ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে কাঁঠাল থেকে।রেগুলার ফলটি খেলে একারণে ত্বক সুন্দর থাকে ও ত্বককে রোদের ক্ষতিকর ইফেক্ট হতে সরে রাখা যায়।
- অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে কাঁঠাল খেলে। ফলে অস্বাস্থ্যকর আহার হতে দূরে থাকা যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- বেশ অল্পসংখ্যক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সোর্স কাঁঠাল। এসব উপকরণ হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে হেল্প করে
- ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস পায় কাঁঠাল খেলে। কারণ কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস হতে রক্ষা করে
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হেল্প করে কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি।
- কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে জরুরি ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হাড় শক্তিশালী রাখার জন্য সহযোগিতা করে।
- আয়রন মেলে ফলটি থেকে ।এই খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উপায় ?
কাঁঠালের বীজ দুইভাবে
সংরক্ষণ করা যায়ঃ
·
কাঁঠালের বীজ না ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। এরপর মাটির পাত্রে বালির
সঙ্গে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
·
বীজ না ধুয়ে পলিথিনে ঢেকে এমনিতে রেখে দিলে ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত ভাল
থাকবে।
·
কাঁঠালেরর বীজ পানিতে পরিস্কার করে রোদে শুকায়ে নিয়ে পলিথিনে বা
এয়ারটাইট বক্সে রেখে সারা বছর সংরক্ষণ করা যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ