Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নারিকেল এর শাঁস এর উপকারিতা ও গর্ভবতী অবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি এবং ডাবের পানির অপকারিতা ?

 নারকেল আমাদের সবার নিকট অবগত ১টি ফল। নারকেলের জল উদাহরণসরূপ পানীয় হিসেবে খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তেমনি নারকেলের শাঁসও প্রচুর উপকারী। নারকেল হতে পানি বের করার পর ছুরি বা চামচ দিয়ে শাঁসটুকু নেওয়া যায়। বর্তমানে নারকেলের শাঁস থেকে মাখন তৈরি হয়, যা দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।



নারিকেল এর শাঁস এর উপকারিতা ও গর্ভবতী অবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি এবং ডাবের পানির অপকারিতা





নারিকেল এর শাঁস এর উপকারিতা ?


১. ফাইবারের অন্যতম  উৎস নারকেলের শাঁস। ১০ গ্রাম শাঁসে গমের চেয়েও বেশি ফাইবার থাকে। ফাইবার আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

২. শাঁসে থাকা পটাশিয়াম হাইপ্রেসার কমায়।

যার কারণে হাইপ্রেসারের  রোগীদের নারকেলের পানি ও শাঁস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া পটাশিয়াম আমাদের শরীরে পানি ও সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই ব্যায়াম করার আগে ও পরে অনেক মানুষ এটা খেয়ে থাকে। আধা কাপ শাঁসে ২৮৫ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে।


আরও জানুনঃ 
সর্বজনীন পেনশন পেতে থাকবে কোন হয়রানি, চালু হবে মুঠো ফোন অ্যাপ ? সর্বজনীন পেনশন ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ হবে লাভজনক খাতে ?


৩. নারকেলের শাঁসে থাকে অ্যামিনো এসিড, যা এক ধরনের প্রোটিন। এটি লিভার সমস্যা প্রতিরোধ করে। ত্বকে প্রদাহ কমায় তার সাথে দাঁতের আকৃতি মজবুত করে।

৪. আয়রনের অন্যতম একটি সোর্স নারকেলের শাঁস। প্রতিদিন আধা কাপ শাঁস খেলে আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে।


এটি দেহে অক্সিজেনের প্রবাহ নিশ্চিত করে। শরীরে শক্তি জোগায়। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৫। নারিকেল এর শাঁস লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে ।


আরও জানুনঃ সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর মাসিক চাঁদা পরিশোধের নিয়মাবলী ?


৬. শাঁসে থাকা সামান্য ফ্যাট বা চর্বি শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিসজনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করার জন্য সহযোগিতা করে।

৭. এক্সট্রা ওজন কমাতে সহায়তা করে নারকেলের শাঁস। খুব নগণ্য ক্যালোরিতেই বিপাক বৃদ্ধি করে অল্পক্ষণের মধ্যেই শরীরে শক্তি জোগায়। একারণে নারকেলের শাঁস খেলে সহসা ক্ষুধা লাগে না। সে ক্ষেত্রে দেহের ওজন কমাতে সহায়ক এটি।



আরও জানুনঃ প্রবাস, সুরক্ষা, প্রগতি ও সমতা স্কিম এ সার্বজনীন পেনশনের কত টাকা কত বছর চাঁদা প্রদান করলে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে ?


গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ?



গর্ভবতী অবস্থায় ডাব খাওয়া যাবে কি?

  • গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানিই যথেষ্ট।
  • ডাবের জল ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • দেহে রক্ত বাড়ায় এছাড়াও মূত্রাশয় হতে আসা কোনও সংক্রমণকে রুখে দেয়।
  • বুক জ্বালার সমস্যা হতে দেয় ডাবের পানি।


ডাব খেলে কি কি উপকার হয়?


শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পারে। পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে বলে
হাইপ্রেসার কমাতে পারে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও magnesium থাকায় ভ্রুণের বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।

ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা ?


স্বাদ বা রোমান্টিকতাই শুধুমাত্র নয়। ডাবের পানির রয়েছে বিশাল স্বাস্থ্যগুণ। নিয়মিত ডাবের পানি খেলে দেহ হবে বিষমুক্ত। আর পর্যাপ্ত রোগ সন্তপর্ণে ধীরে দূরে যাবে দেহ থেকে।

ত্বকের জন্য ডাবের পানির উপকারিতা?




প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডাবের পানি খেলে ও তা দিয়ে ত্বক ক্লিয়ার করলে ত্বকের যে অনেক কল্যাণ হয় সেসব বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে নানারকম দেশে। এটা ত্বকে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। অ্যামিনো অ্যাসিড ও কার্বোহাইড্রেট থাকে বলে এটা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায় ও আর্দ্রতা বজায় রাখে। মাউন্ট সিনা বিদ্যালয় অব মেডিসিনের একদল রিসার্চার জানিয়েছেন, ডাবের পানিতে ইলেকট্রোলাইট উপাদান থাকে। ফলে এটা দিয়ে ত্বক ক্লিয়ার করলে ত্বক মসৃণ হয়।
বছরের ১টি প্রাথমিক তত্ত্বানুসন্ধান জানাচ্ছে, ডাবের পানিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ফলে এটা ব্রণ হওয়ার হাত থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য পারে। কিন্তু এটাও জানানো হয় যে, এর কোনো প্রুফ নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডাবের জল দ্রুত ব্রণ মুছে করার জন্য সহযোগিতা করলেও করতে পারে। ডাবের জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমকে পুষ্ট করতে সহায়তা করে। ফলে এটা ফ্রি রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরাসক্ত করে দিয়ে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর প্রচুর কয়েকটি চাই হয় তাঁর নিজের ও সন্তানের জন্য। সে সময় ডাবের পানি সবকিছুর জন্য কাজ না করলেও কয়েকটি কতিপয় ব্যপারে বেশ উপকারে দেবে।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি যা করার জন্য

পারে—

• শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

• Potassium, sodium and magnesium থাকায় electrolytes ব্যালেন্স ঠিক রাখে।

• ডাবের পানিতে Potassium আছে যা উচ্চরক্ত কমায়।

• Calcium, potassium and magnesium থাকে বলে ডাবের পানি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

• গ্যাস্ট্রিকের হাত হতে কোনো কোনো গর্ভবতী মানবীকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য পারে।

• শর্করার পরিমাণ খুবই কম বলে এটা ওজন বাড়াবে না।




ডাবের পানির উপকারিতা ?


আমাদের দেশে গরমেই সাধারণত ডাবের জল পান করা হয়। এর প্রচুর রিজন আছে। তবে বলে রাখা ভালো, ডাবের পানি শীতের দিনেও শরীরের যে উপকারগরমের দিনেও সেই রকম উপকার করে

  1. শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে
  2. পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে দেহে ইলেকট্রোলাইটে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
  3. এতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে
  4. রোদের কারণে দেহে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি শরীরের বিগলিত উপকরণ ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।




খালি পেটে ডাবের পানি পান করা কি উচিত ?


এর কোনো ঠিক জবাব নেই। রিজন কোনো গবেষণাই প্রুফ করতে পারেনি যে খালি পেটে ডাবের জল ক্ষতিকর। আবার খালি পেটে ডাবের জল খেলে যে উপকারের কথা বলা হয় তারও কোনো নেই।

ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। সংক্ষেপে বললে,

• ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে এটা প্রাকৃতিক ভাবে ক্যালসিয়াম জোগান দেয় শরীরে।

• ডাবের জল শরীর থেকে ক্ষতিকর উপকরণ বের করে।




• এটিতে Potassium and magnesium থাকায় কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

• চর্বির পরিমাণ প্রচণ্ড কম থাকায় ওজন কন্ট্রোলে সহযোগিতা করে।

• পানিশূন্যতা মুছে করে।

• যে কোনো নমনীয় পানীয়ের হতে এতে প্রচুর কম ক্যালরি ও চিনি থাকে।

• পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতির কারণে দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পারে।

• এতে আঁশ থাকে বলে হজমে সাহায্য করে।

• রোদের কারণে দেহে তরলের ঘাটতি হয় তার সাথে দেহ আর্দ্রতা হারায়। ডাবের পানি দেহের বিগলিত উপাদান ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।

আরও জানুনঃ প্রাপ্যতা বিহীন ছুটি ? প্রাপ্যতা বিহীন ছুটি সর্বোচ্চ কত দিনের মঞ্জুর করা যায় ?


ডাবের পানির অপকারিতা ?


• প্রতিটি জিনিসের অনেক ভালো ও ভালো না দুইটা দিকই থাকে। ডাবের পানিরও সেটি আছে। এর কিছু অপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক

• নিয়ম করে ডাবের পানি খেতে হবে। মঙ্গল করে বলে অপ্রয়োজনেও এটি আহার করা যাবে না। তাতে বরং লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• অতিরিক্ত ডাবের জল খেলে কারও কারও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এ উপাদানগুলো দেহে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে। অথচ শরীরে এগুলোর কোনোটার সংখ্যা বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, ইলেকট্রোলাইট, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় নাও থাকতে পারে। আবার এটি রক্তচাপ কমিয়েও দেওয়ার জন্য পারে। এ সবকিছুই দেহ ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। জানানো হয়ে থাকে, কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ডাবের পানি পান করা ভালো। অথচ কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের জল ক্ষতির কারণও হয়। কাজেই যাদের যেকোনো পর্যায়ের কিডনি রোগ বিদ্যমান তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি পান করবেন।





• যাদের আলার্জি রয়েছে।



রিলেটেড ট্যাগঃ নারিকেল এর শাঁস এর উপকারিতা,গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা,




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ