Header Ads Widget

Responsive Advertisement

হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী নাম কি ? হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) স্ত্রীর নাম কি ? ইসলামের প্রথম মহিলা সাহাবীর নাম কি?

 
কয়েকজন সাহাবীর স্ত্রী নাম ?

হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী নাম কি ?

হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী নাম ঃ হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী উম্মে সালীম (রাযিঃ)

হযরত আবু তালহা (রাযিঃ) রাসূলে কারীম (সাঃ)-এর একজন বিশিষ্ট সাহারী। তাঁর স্ত্রী উম্মে সালীম। হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) নবী কারীম (সাঃ)-এর বিশিষ্ট খাদেম প্রসিদ্ধ হাদীস বর্ণনাকারী হযরত আনাস (রাযিঃ)- এর জননী। এক সূত্রে তিনি রাসূল (সাঃ)-এর খালাও হন। তাঁর এক ভাই

রাসূলে কারীম (সাঃ)-এর সঙ্গে যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হন। এসব কারণে রাসূলে কারীম (সাঃ) হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ)কে যথেষ্ট সম্মান করতেন। রাসূলে কারীম (সাঃ) তাঁকে বেহেশতেও দেখেছেন


নতুন নতুন আপডেট পেতে গুগল নিউজ ফলো করুন।


হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ)-এর জীবনে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটে। তাঁর একটি বাচ্চা ছিল বাচ্চাটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। একদিন হঠাৎ করে বাচ্চাটি মারা গেল তখন ছিল রাতের সময় স্বামী আবূ তালহা বাইরে থেকে ঘরে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন বাচ্চার অবস্থা কেমন? হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) চিন্তা করলেন, এখন যদি স্বামীকে বাচ্চার মৃত্যু সংবাদ দেই, তাহলে স্বামীর খুব কষ্ট হবে, সারা রাত তাঁর ঘুম হবে না। তাই তিনি উত্তর দিলেন আরামেই আছে কথাটি মিথ্যা ছিল না। কেননা সে মুসলমানদের সন্তান আর মুসলমানদের সন্তান শিশু অবস্থায় মারা গেলে সে তো জান্নাতী। সুতরাং যে জান্নাতে চলে যায় তার চেয়ে আর কে আরামে থাকে। তাই হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) বললেন সে আরামে আছে স্বামী কথার মর্ম বুঝতে পারেননি।


আরও জানুনঃ অনলাইনে বেতন নির্ধারণ করার নিয়ম ? অনলাইনে বেতন নির্ধারণী ২০২৩ ?


যাহোক হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) স্বামীর সামনে খাবার এনে রাখলেন স্বামী খানা পিনা শেষ করার পর স্ত্রীর প্রতি খাহেশ হওয়ায় তাকে ব্যবহার করতে চাইলেন। আল্লাহর বান্দী হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) তাতেও বাঁধা দিলেন না। সবকিছু শেষ হওয়ার পর স্বামীকে শান্ত-কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন আচ্ছা, কেউ যদি কাউকে কোন জিনিস দিয়ে আবার তা ফেরত নিয়ে নেয়, তাহলে কি তার সেটা অস্বীকার করার অধিকার আছে? স্বামী বললেন, না। তখন হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ) বললেনঃ তাহলে আপনার বাচ্চার ব্যাপারেও সবর করুন। একথা শুনে স্বামী হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ) খুব রাগ হলেন। বললেন : আমাকে সঙ্গে সঙ্গে বলনি কেন? হযরত আবূ তালহা (রাযিঃ) তখনি গিয়ে রাসূল (সাঃ)-এর কাছে পুরো ঘটনা বর্ণনা করলেন। রাসূল (সাঃ) তার জন্য দু' করলেন আল্লাহ্র কি কুদরত, সে রাতেই হযরত উম্মে সালীমের গর্ভ হল সেই গর্ভে এক পুত্র সন্তান জন্ম নিল তাঁর নাম রাখা হল আব্দুল্লাহ। এই আব্দুল্লাহ অনেক বড় আলেম হন। তাঁর বংশেও অনেক বড় বড় আলেম জন্ম নেন

ফায়দা ঘটনায় লক্ষ্যণীয় হল স্বামীকে কিভাবে শান্তি দিতে হয়, সান্ত্বনা দিতে হয় তা শিখতে হবে। আল্লাহর দেওয়া জিনিস আল্লাহ নিয়ে নিলে কী করার আছে? এটা এমন এক সত্য কথা, এ কথাটি মনে রাখলে সবর করা সহজ হয়ে যায়। আর সবরে কেমন বরকত হয় তাতো এ ঘটনায় আল্লাহ পাক প্রমাণ করে দিলেন। তাদের বংশে অনেক বড় বড় আলেম পয়দা হয়েছে । এটা তাদের সবরেরই ফসল। এ জন্যই কথায় বলে সবরে মেওয়া ফলে ।


আরও জানুনঃ মাতৃত্বকালীন ছুটি কি ? মাতৃত্বকালীন ছুটির নিয়ম এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি কবে থেকে কার্যকর হবে ?


হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) স্ত্রীর নাম কি ?

হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) স্ত্রীর নামঃ হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযিঃ) ।

রাসূলে কারীম (সাঃ)-এর ৩ জন মহিলা সাহাবীর কথা পাওয়া যায়, যারা দ্বীন শেখার জন্য লজ্জা ত্যাগ করে রাসূল (সাঃ)-এর কাছে লজ্জা বিষয়ক মাসআলা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। একজন হযরত ফাতিমা বিনতে আবি হুবাইশ (রাযিঃ). আর একজন রাসূল (সাঃ)-এর শ্যালিকা উম্মুল মুমিনীন হযরত যায়নাব (রাযিঃ)-এর বোন হযরত হামনাহ্ বিনতে জাশ (রাযিঃ), আর একজন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী হযরত যায়নাব (রাযিঃ)। তাঁরা সকলে মিলে নবীজীর দরবারে এসেছিলেন মাসআলা জানার জন্য। প্রথমোক্ত দুইজন ‘এস্তেহাযা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-এর কাছে মাসআলা জানতে চেয়েছিলেন । আর তৃতীয়জন সদকা সম্পর্কে মাসআলা জানতে চেয়েছিলেন ।


আর জানুনঃ

আইবাস++ কর্মচারিদের ভ্রমন বিল অনলাইনে সাবমিট করার পদ্ধতি ? ibas++ta da staff login ?


দ্বীনী মাসআলা-মাসায়েল শেখার জন্য আগ্রহ থাকতে হবে। দ্বীনী বিষয় শেখার প্রতি তাদের ঝোঁক ও আগ্রহ ছিল বলেই তাঁরা মাসআলা জানার জন্য নবীর দরবারে এসেছিলেন। দ্বীনী বিষয় শেখার ক্ষেত্রে লজ্জাবোধ তাদের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অতএব আমাদেরও উচিত, কোন দ্বীনী বিষয় বা মাসআলা-মাসায়েল জানার প্রয়োজন দেখা দিলে তা কোন পরহেযগার আলেমের কাছ থেকে জেনে নেয়া। লজ্জার বিষয় হলে সরাসরি আলেমের কাছে না বলে তার স্ত্রীর কাছে বলে তার মাধ্যমে আলেম থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে লজ্জা করে মাসআলা না শিখলে আমল সহীহ হবে না। আর আমল সহীহ না হলে আল্লাহ্র কাছে ধরা পড়তে হবে ।


হযরত উবাদাহ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী নাম কি ?

হযরত উবাদাহ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী উম্মে হারাম (রাযিঃ)।

হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ) একজন বিশিষ্ট মহিলা সাহাবী । তিনি হযরত উবাদাহ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী এবং হযরত উম্মে সালীম (রাযিঃ)-এর বোন। 


আরও জানুনঃ

সরকারি কর্মচারীদের দৈনিক ভাতার ও ভ্রমণ ভাতার নতুন হার ২০২৩ ?


এক সম্পর্কে তিনি রাসূল (সাঃ)-এর খালা। রাসূল (সাঃ) মাঝে-মধ্যে তাঁর ঘরে যেতেন। একবার রাসূল (সাঃ) তাঁর ঘরে গিয়েছেন। খানা খেয়ে একটু শুয়েছেন। এরই মধ্যে ঘুম এসে গেছে। কিছুক্ষণ পর তিনি হাসতে হাসতে ঘুম থেকে উঠেছেন। হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ) রাসূল (সাঃ)কে হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন : আমি এই মাত্র স্বপ্নে দেখলাম আমার উম্মতের একটি দল জাহাজে চড়ে জিহাদে যাচ্ছে। তাদের লেবাস-পোশাক এবং মাল- সামান দেখে মনে হয়, তারা যেন আমীর, বাদশাহ। এ কথা শুনে হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ) আরয করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দু'আ করুন, আল্লাহ তাআলা যেন আমাকেও তাদের মধ্যে শামিল করে নেন। রাসূল (সাঃ) দু'আ করলেন। এরপর আবার তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। একটু পরে আবার পূর্বের মত হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ) আবার রাসূল (সাঃ)কে হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ এই জাতীয় আরও কিছু লোক দেখলাম। তিনি পূর্বের মত আবার আরয করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুআ করুন আল্লাহ তা'আলা যেন আমাকে সেই দলের মধ্যে শামিল করেন। এবার রাসূল (সাঃ) বললেন : না, তুমি প্রথম দলের একজন ।

অতঃপর নবীজীর ওফাতের পর মুসলমানগণ সমুদ্র পথে জিহাদ করেছেন। হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ)-এর স্বামী হযরত উবাদাহ (রাযিঃ)ও সেই জেহাদে শরীক হয়েছিলেন। স্বামীর সাথে উম্মে হরামও সেই জিহাদে গিয়েছিলেন। সাগর পার হওয়ার পর একটি জানোয়ারের পিঠে সওয়ার হওয়ার সময় তিনি জানোয়ারের পিঠ থেকে পড়ে যান এবং ইন্তিকাল করেন। 


আরও জানুনঃ গ্রাচুইটি কি ? সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন কত ? স্ত্রীর পেনশন কি স্বামী 

পাবে ?


ফায়দা : এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল হযরত উম্মে হারাম (রাঃ) কত দ্বীনদার মহিলা ছিলেন যে, ছওয়াব হাসিল করার জন্য নিজের জীবনের পরোয়া করেননি। নিজে রাসূল (সাঃ)-এর দ্বারা দুআ করিয়েছেন। রাসূল (সাঃ)-এর দু'আও পুরোপুরি কবুল হয়েছে। কারণ, ঘরে না ফেরা পর্যন্ত পূরো সফরটাই জিহাদের সফর বলে গণ্য। আর জিহাদের সফরে যে কোনভাবে মারা গেলেই শহীদ হওয়ার মর্যাদা পাওয়া যায়। হযরত উম্মে হারাম (রাযিঃ) এই শাহাদাতের মর্যাদা হাসিল করেছেন। আজকালতো মহিলারা দ্বীনের জন্য জীবন দেয়াতো দূরের কথা ইবাদতের জন্য একটু মেহনত মুজাহাদা করতেও প্রস্তুত হয় না ।


ইসলামের প্রথম মহিলা সাহাবীর নাম কি?


ইসলামিক ইতিহাস অনুসারে হিজরত পূর্ব সময়ে ইসলামের প্রথম মহিলা সাহাবীর নাম সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত বা সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত । তিনি ইসলামের প্রথম শহীদ সাহাবী ও প্রথম মহিলা শহীদও । তিনি আবু জাহলের হাতে নিহত হন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে ।



হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মহিলা সাহাবি কারা ছিলেন ?

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মহিলা সাহাবি কারা ছিলেন :


  • উম্মে আয়মান
  • বারাকাহ ছিলেন একজন প্রাক্তন ক্রীতদাস এবং 
  • নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আবিসিনিয়ান সেবিকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ