Header Ads Widget

Responsive Advertisement

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলাম এর মাসায়েল ? জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা কি হারাম ?


 জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলাম এর মাসায়েল ?


জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ইসলাম এর মাসায়েল   জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা কি হারাম


জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলো কি কি?

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচলিত টি ব্যবস্থা রয়েছে। যথাঃ

. স্থায়ী ব্যবস্থা : যেমন পুরুষের জন্য ভ্যাসেকটমি মহিলাদের জন্য লাইগেশন। ব্যবস্থায় অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষ বা নারীর সন্তান দেয়ার নেয়ার ব্যবস্থা চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয়।

. মেয়াদী ব্যবস্থা : এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মহিলাদের  জন্য ইনজেকশন, নিরাপদকাল মেনে চলা এবং আই, ইউ, ডি ব্যবহার করা হয়।

. সাময়িক ব্যবস্থা: যেমন কনডম ব্যবহার করা, জন্মনিরোধক পিল/বড়ি ব্যবহার করা ইত্যাদি।

জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোন অবস্থাতেই জায়েয নয় বরং হারাম, উদ্দেশ্য বা কারণ যাই হোক না কেন। কেননা, এর মাধ্যমে আল্লাহ্র দেয়া একটা ক্ষমতা (প্রজনন ক্ষমতা)কে নষ্ট করে দেয়া হয় এবং আল্লাহ্র সৃষ্টিকে বিকৃত করে দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম


আরও জানুনঃ ভিটামিন ডি কি ? ভিটামিন ডি এর উপকারিতা ? ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি হয় ?


 জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা কি হারাম ?

জম্ম নিয়ন্ত্রণ এর দ্বিতীয় প্রদ্ধতি নেওয়া মাকরূহ তাহরীমী যা হারামের কাছাকাছি।


জন্মনিয়ন্ত্রণের তৃতীয় পদ্ধতি (সাময়িক ব্যবস্থা) গ্রহণের পেছনে যদি উদ্দেশ্য এই থাকে যে, এতে করে পৃথিবীর লোক সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকবে, খাদ্যের সংকট হবে না, বাসস্থানের সংকট হবে না ইত্যাদি, তাহলে এটা ঈমান বিরোধী চেতনা থেকে হওয়ার কারণে জায়েয নয়

মনে রাখতে হবে- আল্লাহ্র পরিকল্পনা সকলের পরিকল্পনার চেয়ে উত্তম, তিনি ভূত ভবিষ্যৎ এনমভাবে জানেন যা কেউ জানে না, তিনি সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্টি জীবের রিযিকের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। এমন নয় যে, এত লোক জন্ম নিচ্ছে যে ব্যাপারে আল্লাহ্র কোন পরিকল্পনা নেই, বা তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতে তিনি অক্ষম।


আরও জানুনঃ  গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা এবং গর্ভবতী মায়ের খাবার ?

 

আর জন্মনিয়ন্ত্রণের তৃতীয় পদ্ধতি যদি স্ত্রী বা সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা জায়েয।

আর তৃতীয় পদ্ধতি যদি বিলাসিতার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয় এই ভেবে যে, সন্তান কম হলে ঝামেলা কম হবে, ছিমছাম থাকা যাবে ইত্যাদি, তাহলে স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে তা গ্রহণ করা জায়েয, তবে এটা খেলাফে আওলা বা অনুত্তম, কেননা এটা ধর্মীয় চাহিদা বিরোধী। ধর্ম চায় রাসূলের উম্মত বৃদ্ধি পাক। রাসূলের উম্মত বৃদ্ধি পেলে রাসূল (সাঃ) কিয়ামতের দিন নিয়ে গর্ব করবেন বলে হাদীছে উল্লেখ এসেছে।


আরও জানুনঃ গর্ভবতী মায়ের যত্ন কি কি এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা ? গর্ভবতী মায়ের কি কি চেকআপ করা দরকার ?


পরিবার পরিকল্পনা কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য ?

কোরান জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ করে না, বা স্বামী বা স্ত্রীকে মহাকাশ গর্ভধারণ করতে বা তাদের পরিমান সীমিত করার জন্য নিষেধ করে না। সুতরাং, ইসলামী আইনবিদদের বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ আশ্বাস করেন যে ইসলামে ফেমেলি প্রস্তুতি জায়েজ



 সূত্রঃ আহকামুন নিসা

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ