সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের উত্তরাধিকার কে কে ?
পারিবার বলতে কি বুঝায় ?
আনুতোষিক ও পেনশন পরিশোধের ক্ষেত্রে পরিবার বলতে স্বামী/স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তান এবং মৃত পুত্রের স্ত্রী বা স্ত্রীগণ ও সন্তান কে বুঝায় ।
নতুন নতুন আপডেট পেতে গুগল নিউজ ফলো করুন।
আনুতোষিক ও পেনশনের প্রাধিকার :
আনুতোষিক ও পেনশন পরিবারের সদস্যরা পাবে । পরিবারের কোন সদস্য না থাকলে সেক্ষেত্রে ১৮ বৎসরের কম বয়সের ভাই, অবিবাহিতা ও বিধবা বোন এবং পিতা-মাতা পাবে । এরাও যদি না থাকে তবে কেউ পাবে না ।
১. পরিবারের ক্ষেত্রে
উত্তরাধিকারী মনোনয়ন :
১. চাকুরীতে থাকা অবস্থায় অথবা
পরবর্তী যে কোন সময়ে
পরিবারের এক বা একাধিক
ব্যক্তিকে মনোনীত করা যাবে ।
২. একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের প্রাপ্য অংশের পরিমান উল্লেখ করতে হবে ।
৩. পরিবার বহির্ভূত কাউকে মনোনীত করা যাবে না
।
৪. যে কোন সময়
পূর্বের মনোনয়ন বাতিল করে নুতনভাবে মনোনয়ন
প্রদান করা যাবে ।
আনুতোষিক বন্টন
ক) মনোনয়ন পত্র দাখিল করা
হলে মনোনয়ন মোতাবেক পাবে ।
খ) মনোনয়ন পত্র দাখিল করা
না হলে পরিবারের নিম্নোক্ত
সদস্যগণ সমান অংশ পাবে
-
(১) স্বামী/স্ত্রী বা স্ত্রীগণ;
(২) ২৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত পুত্রগণ ;
(৩) প্রতিবন্ধী সন্তানগণ;
(৪) অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা ও বিধবা কন্যাগণ;
(৫) মৃত পুত্রের স্ত্রী
বা স্ত্রীগণ, ১৮ বৎসর বয়স
পর্যন্ত পুত্রগণ, অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা ও বিধবা কণ্যাগণ
।
উল্লেখ্য
মৃত সন্তান জীবিত থাকলে যে অংশ প্রাপ্য
হত উক্ত অংশই মৃত
পুত্রের স্ত্রী ও সন্তানরা সমান
অংশে প্রাপ্য হবে । অর্থাৎ
তারা সকলে এক সদস্য
হিসেবে গণ্য হবে ।
মৃত
কর্মচারীর পরিবারের উপরোক্ত কোন সদস্য না
থাকলে কেবলমাত্র
মাসিক পেনশন বন্টন
১. পরিবারের ক্ষেত্রে -
১)
মনোনয়ন পত্র দাখিল করা
হলে মনোনয়ন মোতাবেক পাবে । ২)
মনোনয়ন না থাকার ক্ষেত্রে
:
(ক)
স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের
সংখ্যা একত্রে ৪ জনের অধিক
না হলে সমহারে পাবে
।
(খ)
স্ত্রী এবং যোগ্য সন্তানের
সংখ্যা একত্রে ৪ জনের অধিক
হলে প্রত্যেক স্ত্রীকে ১/৪ অংশ
দেয়ার পর অবশিষ্ট থাকলে
তবে তা প্রত্যেক যোগ্য
সন্তান
সমহারে
পাবে ।
(গ)
উপ-অনুচ্ছেদ (ক) ও (খ)
এ বর্নিত কোন সদস্য না
থাকলে ২৫ বৎসর বয়সের
উর্ধ্বের পুত্র/বিবাহিতা কণ্যা প্রাপ্য হবে ।
আরও জানুনঃ পারিবারিক পেনশন ফরম ২.২ পূরণের নিয়ম
২. পরিবার না থাকলে-
সেক্ষেত্রেই
পরিবারের নিম্নোক্ত সদস্যগণ সমহারে আনুতোষিক প্রাপ্য হবে ১) ২৫
বৎসর বয়সের উর্ধ্বের পুত্রগণ;
২) মৃত পুত্রের ১৮
বৎসর বয়সের উর্ধ্বের পুত্রগণ ৩) বিবাহিতা কণ্যাগণ;
৪) মৃত পুত্রের বিবাহিতা
কণ্যাগণ ।
গ) কোন অংশ বিশেষ
মনোনয়ন করা না হলে
বা মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যু হলে বা মনোনীত
ব্যক্তি পেনশন প্রাপ্তির যোগ্যতা হারালে ঐ অংশ পরিবারের
যোগ্য সদস্যদের মধ্যে সমহারে বন্টন হবে ।
২. পরিবার না থাকলে-
মৃত
কর্মচারীর পরিবারের কোন সদস্য না
থাকলে কেবলমাত্র সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ সমহারে আনুতোষিক প্রাপ্য হবে : ক) ১৮ বৎসরের
কম বয়সের ভাই; খ) অবিবাহিতা
ও বিধবা বোন; গ) পিতা
ও মাতা ।
আরও জানুনঃ শতভাগ পেনশন সর্মপনকারী পেনশনারগণের ১৫ বছর পর পুনরায় পেনশন পাওয়ার নিয়ম ২০২২
মাসিক পেনশন মঞ্জুর
১. পরিবারের ক্ষেত্রে
পরিবারের
অন্যান্য সদস্যের অভিভাবক হিসেবে নিম্নরুপ অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে নিম্নোক্ত সদস্যগণের অনুকুলে পেনশন মঞ্জুর করতে হবে :
(১)
স্বামী/স্ত্রী; (২) অনুর্ধর ২৫
বৎসর বয়স্ক জ্যেষ্ঠ পুত্র; (৩) জ্যেষ্ঠ অবিবাহিত
কণ্যা । তার বিয়ে/মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ অবিবাহিতা কণ্যা; (৪) জ্যেষ্ঠ বিধবা
কণ্যা; (৫) মৃত পুত্রের
স্ত্রী; (৬) মৃত পুত্রের
জ্যেষ্ঠ পুত্র; (৭) মৃত পুত্রের
জ্যেষ্ঠ অবিবাহিতা কণ্যা; (৮) মৃত পুত্রের
জ্যেষ্ঠ বিধবা কণ্যা; (৯) চাকরীজীবি ২৫
বৎসর বয়সের উর্ধ্বের পুত্র/ বিবাহিতা কন্যা । ২. পরিবার
না থাকলে-
মৃত
কর্মচারীর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল
ছিল এই মর্মে গ্রহনযোগ্য
প্রমানাদি
মৃত
কর্মচারীর পরিবারের কোন সদস্য না
থাকলে কেবলমাত্র সেক্ষেত্রে নিম্ন দাখিল করা হলে নিম্নোক্ত
ব্যক্তিগণের. অনুকুলে নিম্নরুপ অগ্রাধিকারের বর্ণিত ব্যক্তিগণ মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবে :
১) ১৮ বৎসর বয়সের
কম বয়সের ভাই; ২) অবিবাহিতা
ও বিধবা বোন; ৩) পিতা
ও মাতা ।
যোগ্য
সন্তান বলতে প্রতিবন্ধী সন্তান
ব্যতীত ২৫ বৎসর বয়সের
উর্ধ্বের পুত্র এবং বিবাহিতা কণ্যা
বুঝাবে না ।
আরও জানুনঃ পেনশন কি? পেনশন যোগ্য চাকুরী এবং পেনশন যোগ্য চাকরির শর্তাবলী?
ক্রমানুসারে পেনশন মঞ্জুর করা যাবে ঃ
(১)
পিতা; (২) মাতা; (৩)
১৮ বৎসরের কম বয়স্ক জ্যেষ্ঠ
ভাই; (৪) জ্যেষ্ঠ অবিবাহিতা
বোন । জ্যেষ্ঠ বোনের
বিয়ে/মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ অবিবাহিতা বোন; (৫) জ্যেষ্ঠ বিধবা
বোন ।
0 মন্তব্যসমূহ